বাকৃবিতে কৃষক পর্যায়ে বিটি বেগুনের বিস্তার শীর্ষক কর্মশালা

BAU

আমাদের দেশে কৃষকরা বেগুন চাষে শত্রু পোকা দমনে এক মৌসুমে ১৬০-১৮০ বার মারাত্মক ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ করে যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ।

এতে কৃষক কাঙ্খিত ফলন পায় না। কিন্তু বিটি বেগুন ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী জাত হওয়ায় মারাত্মক এ পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং ফলনও ভালো হয়।

এতে কৃষকরা নিজেরাই বীজ উৎপাদন ও বীজ সংরক্ষণ করতে পারবে। কীটনাশক ব্যবহার সীমিত হওয়ায় পরিবেশ দুষণ হবে না, ভোক্তার স্বাস্থ ভাল থাকবে, কৃষকের উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে, উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি পাবে।

Post MIddle

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘কৃষক পর্যায়ে বিটি বেগুনের বিস্তার ও বায়োটেকনোলজি’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিটি বেগুনের ফলাফল অবহিত করণ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মো. রফিকুল হক।

কৃষি সমপ্রসারণ শিক্ষা বিভাগ, ইউএসএআইডি, এগ্রিকালচার বায়োটেকনোলজি সাপোর্ট পোগ্রাম এর উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক পাটোয়ারী ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড.জুলফিকার হায়দার।

চার দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সারাদেশ থেকে আসা ২০৮ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্র নেন।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট