সিলেটের শিক্ষা-ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে সর্বমহলকে এগিয়ে আসতে হবে।বিভাগীয় কমিশনার

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাজ্জাদুল হাসান বলেছেন, শিক্ষা উন্নয়নে শিক্ষকদের আন্তরিকতার বিকল্প নেই। শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব। শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা নিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত জীবন আলোকিত করে। শিক্ষার্থীদেরকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকদের দায়িত্ব। সরকার সীমিত সম্পদ দিয়ে শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে তথা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং উন্নত জাতি গঠনে সকলকে একযুগে কাজ করতে হবে।
Post MIddle

SAMSUNG CAMERA PICTURESতিনি আরো বলেন, সিলেটের লোকজন দু’শত বছর পূর্ব থেকেই প্রবাসে বসবাস করে আসছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সমৃদ্ধ সিলেট অঞ্চল শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মোটেই কাম্য নয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে সিলেটের শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি আমুল পরিবর্তন আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেটের প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকলকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে পৃথিবীর সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিশেষ করে সিলেটের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি সিলেটের শিক্ষা-ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বমহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিভাগীয় কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান রোববার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুর রহমান সরদারের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা উন্নয়ন) মনিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইমাদ উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা পান্না।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তালুকদার, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম আলম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সদস্য ফজলুল করিম হেলাল, ইছরাব আলী হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহাব উদ্দিন, হাজী রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী, রেবতি রমন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ ফারুক, আব্দুল আহাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আহাদ, তেতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, তুরুকখলা ইসলামী মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল ফাত্তাহ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা পরিষদ মসজিদের ইমাম আব্দুল বাছিত। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা সুলাইমান হোসাইন, মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সুহেল সহ উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অফিসার্স ক্লাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

পছন্দের আরো পোস্ট