রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
আজ ৬ জুলাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। উত্তর বঙ্গে বাংলা ভাষা চর্চা ও শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ১৯৫৩ সালের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

রাজশাহীর প্রখ্যাত আইনজীবী মরহুম মাদারবখ্শ ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ ইৎরাত হোসেন জুবেরীর অনন্য অবদানে গড়া এই ক্যাম্পাসটি। ১৯৫৩-৫৪ শিক্ষাবর্ষে ৭টি বিভাগে (দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজী, অর্থনীতি, গণিত ও আইন) ১৬১ শিক্ষার্থী নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি অনুষদের অধীনে ৫০টি বিভাগে পড়াশুনা করছেন অন্তত ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ১২ শতাধিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য ১৬টি আবাসিক হলসহ গবেষকদের জন্য রয়েছে একটি ডরমেটরি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৩৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধ্যে সরকারি ১৭টি, বেসরকারি ২০টি। রয়েছে ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট।
তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও অনুষদ বাড়লেও বাড়েনি পড়াশুনার মান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ তুললেও তা কানে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ১০ গাজার ছাত্রীর জন্য ৫টি আবাসিক হল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হলেও গত তিন বছরেও নির্মানকাজ শেষ হয়নি শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতিবছর অর্থ নিয়েও ইন্টারনেট সেবা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নামে মাত্র রাখা হয়েছে ওয়াইফাই (তারবিহীন ইন্টানেট) ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের থেকে দুই বছর ধরে ৪০০ টাকা করে নিয়েও দেয়া হয়নি ডিজিটাল পরিপয়পত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে খাবারের মান নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। টাকার বাড়ালেও হল কর্তৃপক্ষ বাড়ায়নি খাবারের মান। তাই বাধ্য হয়ে অস্বাস্থকর ও নি¤œমানের খাবার খেয়েই পড়াশুনা করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের জন্য শহীদ মীর আব্দুল কাউয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরি নামে একটি দ্বি-তল আবাসিক ভবন থাকলেও তার গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গবেষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণার জন্য ৫টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে আইবিএস ও আইবিএ-তে গবেষণা হলেও ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে তেমন উল্লেখযোগ্য গবেষণা হচ্ছে না। নামে মাত্র ইনস্টিটিউটগুলো চালু রাখা হয়েছে।