টানা আন্দোলনে স্থবির চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

দেড়মাসেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে নগরীর বেসরকারি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি)। চাকরি বিধিমালসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষক-চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করলেও সংকট নিরসনে এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই।

images (1)ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীর জীবন এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে।স্বনামধন্য এপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে সারাদেশে। গত ১৮ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা। আন্দোলন চলাকালে প্রতিদিন টানা চার ঘণ্টার কর্মবিরতির পাশাপাশি মিছিল-সমাবেশ করে আসছে আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।  এ সময় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী অডিটোরিয়ামে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলনকারী সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম ইছহাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য  রাখেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শওকত আলী, মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডিন ডা. মোকাদ্দেস আক্তার বেগম, সিন্ডিকেট সদস্য ডা. বদিউল আলম, ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাহমুদুল হক চৌধুরী, ডা. এ বি এম আলী, ডা. কামাল উদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী প্রমুখ।

Post MIddle

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউএসটিসির সংকটের জন্য পরিচালনাকারি সংগঠন জনসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. নীনা ইসলাম দায়ী। এরই মধ্যে ইফতেখারুল ইসলাম সংকট নিরসন করে সমঝোতার জন্য কিছুটা উদ্যোগী হলেও নীনা ইসলাম সে উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

নীনা ইসলামের ভয় আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সাতটি অবৈধভাবে পদ থেকে আসা লাখ লাখ টাকার আয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বক্তারা বলেন, প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে সরকার ও মানুষের সহায়তায় জনকল্যাণমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন।  কিন্তু তার উত্তরসুরীরা প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক সম্পত্তি বিবেচনা করে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন।

সমাবেশে অবিলম্বে চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন, বৈধ ভিসি-প্রোভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ, বৈধ ট্রাস্টি বোর্ড ও সিন্ডিকেট গঠনের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট