হাবিপ্রবির লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বই নেই

উত্তর বঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়টির নানাবিধ সমস্যার মধ্যে লাইব্রেরি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। লাইব্রেরিতে নেই প্রয়োজনীয় বই, রিডিং রুম, অভাব রয়েছে কর্মকর্তা কর্মচারির। প্রকট হচ্ছে বইয়ের দিন দিন অভাব। 14112008(065)

লাইব্রেরিতে গিয়ে আলমারি গুলো দেখলে বুঝার উপায় নেই এখানে বইয়ের অভাব রয়েছে। আলমারি গুলো বিভিন্ন বইয়ে ভর পুর তবে সেগুলো প্রয়োজনীয় নয়। যে বইগুলো আছে সে বইগুলো অনেক নিম্ম মানের এবং অনেক পুরাতন।

যেগুলো শুধু লাইব্রেরিরর শোভা বৃদ্ধি করছ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো উপকারে আসছেনা।

প্রতি বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেররি জন্য বই কেনার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুই বার বই কেনা হয়েছে।যার কারনে বইয়ের অভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে।

দ্বিতীয় সমস্যা টি হচ্ছে রিড়িং রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় লাইব্রেরিতে রিডিং রুম রয়েছে মাত্র দুটি। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে বসে পড়াশোনা করে। এ অবস্থার কারনে অনেকে লাইব্রেরিতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

তৃতীয়ত লাইব্রেরিতে নেই প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। যার কারনে ছাত্রছাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

Post MIddle

কর্মচারী কর্মকর্তাদের অভাবে লাইব্রেরিতে নেই সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা। যেখানে প্রত্যেকটা‌ বিষয়ের জন্য আলমারিতে আলাদা আলাদা তাক, তবুও প্রয়োজনীয় বই খুজে পেতে অনেক বেগ পেতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ৪০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া আছে।

কিন্ত সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ১৮ থেকে ২০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দেখা যায় তারাও বিভিন্ন সিফটে কাজ করেন।

ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রুবেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বই নে। সেখানে নেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। লাইব্রেরিতে রিডিং রুমেরও সঙ্কট রয়েছে।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের লেভেল -৩ সেমিস্টার -১ এর ছাত্র মো. ওমর ফারুক বলেন, আমি কখন ও লাইব্রেরিতে গিয়ে আমার প্রয়োজনীয় বই খুজে পাইনি।
যাও দুই একটা পাওয়া যায় তা পড়ার উপযুক্ত নয়। লাইব্রেরিতে যারা কর্মরত রয়েছেন তারা ও দক্ষ নয় ।
লাইব্রেরিতে বই খুজে পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা কোনো সহযোগীতা করতে পারে না ।
কৃষি অনুষদের লেভেল-৩, সেমি: ১-এর ছাত্রী শারমিন স্মৃতি বলেন লাইব্রেরিতে চাই পড়াশোনার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ। কিন্তু আমাদের এখানে তা নেই। কারন সব লেভেল ও অনুষদের শিক্ষার্থীরা একই রিডিংরুমে পড়াশোনা করে।
এতে করে পড়াশোনা করা যায় না। আর যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা তা হলো পর্যাপ্ত বই নেই।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. বলরাম রায় বলেন, লাইব্রেরিতে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তার সমাধানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরির ব্যবস্থা করছি, যে সব ধরনের প্রয়োজনীয় বই পাওয়া যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির বর্ধিত অংশ সম্পূর্ন হবার পর সব সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করছি ।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট