বেরোবি ভিসি বিতাড়নের টার্গেট, দ্বিতীয় দিনেও অবরুদ্ধ
চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন চালুর দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. একেএম নুর-উন-নবী দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার অবরুদ্ধ রয়েছেন।
তবে আন্দোলনকারীদের ব্যবহার করে ভিসি পতনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে সাবেক ভিসি জলিল মিয়া পন্থীরা। এজন্য অনির্ধারিত বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের লালকুঠিস্থ্য সাবেক রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলের বাসায় রাত ১১টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমান ভিসিকে হটানোর জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে পরবর্তী ভিসিও নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ক্যাম্পাসে ধারাবাহিকভাবে নানা ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। যেমন কিছুদিন আগে রেজিস্ট্রার ইস্যু, বর্তমানে বেতন এটি শেষ হতেই কর্মকর্তা-কর্মচারী নীতিমালা ইস্যু নিয়ে মাঠে নামা হবে।
আর এজন্য কয়েকটি সেক্টরে কর্মপন্থা ঠিক করা হয়েছে। এসব কর্মপন্থা বাস্তবায়নের জন্য যে ব্যয় হবে তা অনির্ধারিত রাখা হয়েছে। যখন যা ব্যয় হবে তা তাৎক্ষনিকভাবে সমন্বয় করা হবে।
এব্যাপারে সাবেক রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল, ডিডি এটিজিএম গোলাম ফিরোজ এবং এসি ফিরোজুল সব ব্যয় বহন করবেন। আর মাঠে থাকবে তাদের নিকটাত্মীয় ও অনুসারী কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

ব্যয়ের খাত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের খাবার, প্রচারনা, সাংবাদিক, পুলিশ আর বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া।
চলমান আন্দোলন উপলক্ষে প্রত্যেকের ওপর নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকার ৩৫ হাজার টাকা ডিডি ফিরোজকে দেন সাবেক রেজিস্ট্রার শাহাজাহন আলী মণ্ডল।
এসি ফিরোজুল শুক্রবার রাতে ডিডি ফিরোজকে দেবেন বলে সময় নেন।
তাদের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা আর মিডিয়ায় নিউজ করে সেটি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাবেন প্রধানমন্ত্রীর ভাসুরের মেয়ে জামাই। যিনি ঢাকায় থাকেন।
এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন প্রধানমন্ত্রী দফতরের একজন কর্মকর্তা। এমনটিই তাদের সিদ্ধান্ত।
যোগাযোগ করা হলে শাহজাহান আলী মণ্ডল বলেন ‘আমার বাসায় তারা এমনিতেই এসেছিলেন, কোনো বৈঠক হয়নি।
স: ইএইচ