চাকরি হারালেন কুয়েট অধ্যাপক আবদুস সামাদ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সামাদকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। kuet

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া একই সময়ে ভিন্ন দুটি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে চাকরি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অবসরে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ। তিনি জানান, কুয়েট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া একই সময়ে ২টি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে চাকরি ধারা এবং কুয়টে সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত ধারা মোতাবেক অপরাধ।

অধ্যাপক সামাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। এই প্রজ্ঞাপন ২০১৪ সালের ৩ জুলাই অপরাহ্ন থেকে কার্যকর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অধ্যাপক সামাদের কুয়েটের বাইরে ইউএসটিসি’র ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। বিষয়টি কুয়েট সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়।

Post MIddle

সূত্র আরও জানায়, অধ্যাপক ড. সামাদ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল থেকে কুয়েট অনুমোদিত লিয়েনসহ ছুটি নিয়ে কুয়েট’র অনুমতি ছাড়া চার বছর ঢাকাস্থ প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব পালন করেন। প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে চাকরিকালীন তিনি চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ে (ইউএসটিসি) ডিন হিসেবে যোগদান করেন।

২০১১ সালের ১২ এপ্রিল লিয়েনসহ ছুটি শেষে তিনি কুয়েট এ যোগদান করলেও ইউএসটিসি’র চাকরি অব্যাহত রাখেন।

বিষয়টি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ জানতে পারায়, বিনা অনুমতিতে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভিযোগ ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুয়েট’র ৪৫ তম সিন্ডিকেট সভায় উথ্থাপন করলে সিন্ডিকেট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে তদন্ত কমিটি অধ্যাপক ড. সামাদের কাছে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যখ্যা দিতে বলেন। কিন্তু তার ব্যখ্যা তদন্ত কমিটির কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় কমিটি তাকে চাকুরিচ্যুতির সুপারিশ করেন।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট