সিকৃবিতে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম-এর সফল গবেষণা

কৃষি প্রাণ,কৃষি জীবন। আমাদের দেশের অথর্নীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল। স্বাধীনতার পর যে খাত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে তার মধ্যে অন্যতম কৃষি।Capsicum
শিক্ষা,গবেষনা ও সম্প্রসারনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এ ক্ষেত্রে রেখেছে অগ্রগামী পদক্ষেপ। নতুন হলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রেখে যাচ্ছে অনেক অবদান।
সিলেট অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটোর সফল গবেষনা সম্পন্ন হয়েছে। ছড়িয়ে পরছে সাড়া সিলেট জুড়ে। সাড়া বছর জুড়ে পাওয়া যাচ্ছে শিম ও টমেটো। লাভবান হচ্ছে দেশের কৃষক,এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
২০১২ সালের অক্টোবর থেকে সিলেট অঞ্চলে ছড়িয়ে লক্ষ্যে উচ্চফলনশীল সবজি ক্যাপসিকাম নিয়ে গবেষণা শুরু করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
সিলেট অঞ্চলের উপযোগী জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন প্রযুক্তি ও কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই যার প্রধান লক্ষ্য। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্যোনতত্ত্ব গবেষনা কেন্দ্রের সহযোগিতায় ক্যাপসিকামের তিনটি জাত বারি মিষ্টি মরিচ(১), ক্যালিফোনিয়া ওয়ান্ডার ও ইয়োলো ওয়ান্ডার নিয়ে গবেষনা করা হয়। ভাল সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান প্রধান গবেষক হর্টিকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
ড. ইসলাম জানান ক্যাপসিকাম একটি মূল্যবান ফসল। পোকামাকড়, রোগজীবাণু, রাত্রীকালীন নিম্নতাপমাত্রা ও আলোর প্রক্ষরতার কারনে উন্মক্ত মাঠ পদ্ধতিতে চাষ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে। এই সমস্যা উত্তরনের লক্ষ্যে ক্যাপসিকামের কয়েকটি জাত উন্মুক্ত মাঠ এর পরিবর্তে সাদা নাইলনের নেট ও পলিথিনের ব্যবহার করা হয়।

Post MIddle

যাতে করে গাছের বৃদ্ধি ও ফসলের উল্লেখযোগ্য ভাল ফলন সম্ভব।
প্রধান গবেষক আরো জানান,কৃষি গবেষনা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে উন্মুক্ত ও নেট দিয়ে আবদ্ধ উভয় পদ্ধতিতে চাষ করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গাছ প্রতি ১৫০-২০০ গ্রাম সবজি পাওয়া গেলেও আবদ্ধ পদ্ধতিতে পাওয়া যায় ১-১.৫ কেজি। এরই মধ্যে সিলেটের মাধবপুর ও চুনারুঘাটের কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষ করে ভাল ফলন পাচ্ছে। উচ্চ মূল্যের সবজি হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট