ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে যথারীতি ক্লাস চলছে।borishal

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কারের খবরে তাদের পক্ষের ছাত্ররা ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার বিক্ষোভ করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাতে সায় দেয়নি। ফলে তারা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার কোনো পরীক্ষা ছিল না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের দায় নিতে চাচ্ছে না বলে তারা ক্লাসে ফিরেছে।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ববির অস্থায়ী ক্যাম্পাস লাগোয়া মেসে শিবিরকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র জড়ো করছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

Post MIddle

ম্যানেজমেন্ট তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘যে সব ছাত্র হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযুক্ত হয়েছেন, তাদের রক্ষার্থে ক্লাস বন্ধ করে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়তে চাই না। তারপরও স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ কেউ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে। এদের বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

৫ জুন সহকারী রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপসহ ৪ কর্মচারীকে হামলা চালিয়ে আহত করা এবং আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেয়ে

সোমবার সিন্ডিকেট সভায় ছয়  শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে ছয় সিন্ডিকেট সদস্যের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে কমিটি ৪ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট